দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ বিষয়ে গত ৪ জানুয়ারি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
ভর্তিচ্ছু শিশুদের নাম, ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকার সব শিশুকে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষকেরা শিশুদের ভর্তি নিশ্চিত করবেন। অসুস্থ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, সন্তানসম্ভবা শিক্ষিকাদের স্কুলে উপস্থিত থাকা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য যে শুধু লটারিতেই শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা নিতে দেশের বেসরকারি স্কুলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল রোববার জারি করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
Read More News
মাউশির চিঠিতে বলা হয়, লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। লক্ষ করা যাচ্ছে, ঢাকা মহানগরীর কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০২১ শিক্ষাবর্ষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আগের জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না, যা অনভিপ্রেত। এ অবস্থায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করে প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছে মাউশি।
এর আগেও এমন নির্দেশনা জারি করা হয়। বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের উদ্দেশে গত ডিসেম্বরে মাউশির আগের সেই চিঠিতে মোট ৫ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে লটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ, বিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিশ্চিত করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়াটি ফেসবুক লাইভে অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।