নায়িকা তমা মির্জা ও তার স্বামীর পাল্টাপাল্টি মামলা

নায়িকা তমা মির্জা এবং তার স্বামী হিশাম চিশতি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন নায়িকা তমা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যৌতুক জন্য মারপিটসহ হুমকি প্রদানের অপরাধে মামলাটি করেছেন তিনি। আর ৬ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন স্বামী হিশাম।

তমা মির্জা বলেন, যৌতুকের জন্য আমাকে নির্যাতন করত হিশাম। শুধু তাই নয়, আমাকে মারধরও করেছে একাধিকবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন জনের কাছে আমার নামে আপত্তিকর কথা বলেছে হিশাম। বাধ্য হয়ে আমার নিরাপত্তার জন্য আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।

এদিকে, তমা মির্জার মামলার পরই বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন তার স্বামী হিশাম চিশতী। ৬ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন তিনি। এ মামলায় তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি, তার বাবা-মা, ভাইসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলা করার কয়েকদিন পরেই কানাডা চলে গেছে হিশাম চিশতি।
Read More News

হিশামের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পর বাবা-মায়ের প্ররোচনায় হিশামের কাছ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন তমা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হিশাম কানাডা থেকে ফিরে তমাকে তার নিজের বাসায় এসে থাকতে বলেন। কিন্তু তিনি বাবার বাসাতেই থাকেন। গত ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে তমা মির্জার বাবার বাড্ডার বাসায় যেতে বলা হয় হিশামকে। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনার পর ধার নেওয়া ২০ লাখ টাকা চাইলে বাসার সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। এর একপর্যায়ে বাড়ির সদস্যরা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টা করে।

তমা মির্জা ২০১৫ সালে নদীজন চলচ্চিত্র অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

তমা মির্জার শৈশব কাটে বাগেরহাটের কচুয়ায়। সেখানে মাধ্যমিক পাশ করার পর ঢাকায় এসে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ভর্তি হন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করার পর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ২০১৯ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুবাইয়ে হানিমুনও করেছিলেন তারা। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *