শৃঙ্খলা ছাড়াই রাজধানীতে যানবাহন চলছে। দিন দিন বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। যে কেউ ইচ্ছা করলেই নতুন নতুন বাস কোম্পানি করছেন। ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। যানজটের কারণে এখন বাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চার কিলোমিটার। আগামী চার বছর পর বাসের গতি আর মানুষের হাঁটার গতি সমান হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার জরিপে। এরই ধারাবাহিকতায় বাস চলাচল শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে রেশনালাইজেশন প্রক্রিয়ার বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে শুরু করে সরকার। যা ইতোমধ্যে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।
অর্থাৎ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকার বাস চলাচলের চিত্র একেবারেই পাল্টে যাবে। প্রকল্প শুরুর পর নির্দিষ্ট স্টপেজে বাস থামবে। যাত্রীদের টিকেটের জন্য থাকবে কাউন্টার। বাসগুলো নিয়মমতো চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। সব গাড়ি হবে আধুনিক। ইচ্ছা করলেই যে কেউ ইচ্ছেমতো নামতে ওঠতে পারবেন না।
জানা গেছে, ক্লাস্টার প্রক্রিয়ার জন্য ইতোমধ্যে নয় রং নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলা, নীল, মেরুন, গোলাপি, বেগুনি, সবুজসহ আরও কয়েকটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঢাকার সবকটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেয়া হবে।
Read More News
নয় ক্লাস্টারে বিভক্ত গোটা রাজধানী থাকবে ২২ কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। এর আওতায় বর্তমানের ২৯১টি রুট বিন্যাস করা হয়েছে। নতুন বিন্যাসে ৪২টি রুটে রাজধানীর বাস চলাচলের জন্য চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। নতুন বছরের এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হচ্ছে পাইলট প্রকল্প। প্রথম রুট ঘাটারচর থেকে মতিঝিল চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাজধানীর যানজট নিরসনে নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে শহরের ভেতরে-বাইরের কোন বাস প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এজন্য নগরীর আশপাশে নির্মাণ করা হবে ১০টি আধুনিক বাস টার্মিনাল। সেইসঙ্গে আধুনিক যানবাহন পরিচালনার জন্য পরিবহন মালিকদের চার ভাগ সুদে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণ দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার বৈঠক শেষে ঢাকার দুই মেয়র জানান, এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চলবে এই প্রক্রিয়ায় বাস। প্রথম রুট ঘাটারচর থেকে মতিঝিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে বলছেন বাস মালিক কর্তৃপক্ষ।