রংপুরে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এএসআই রায়হানের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ ব্যুবো অব ইনভেসটিকেশন (পিবিআই)। শুনানির জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে গতকাল রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনস থেকে রায়হানকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজির করা হয় আদালতে। গত রোববার হারাগাছ উপজেলার কেদারের পুল মহল্লার একটি বাসায় নিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
Read More News
খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করে পুলিশ। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা মামলা করলে ধর্ষণের সহযোগী ২ নারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। মামলটি তদন্ত করছে পিবিআই।
পরিবার সূত্র জানায়, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। তিনি আগে হারাগাছ থানার এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাকনাম রাজু বলে জানায় ওই ছাত্রীকে।
সম্পর্কেরে সূত্র ধরে গত রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হান ডেকে নেয় নগরীর ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়ার পারভীন ওরফে মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে। সেখানে প্রথমে রায়হান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে আরও কয়েকজন পরিচিত যুবককে অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করায়।
ছাত্রীর পিতা আয়নাল বাদি হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হান ও মেঘলাসহ অজ্ঞাত ২ জনসহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নামে ধর্ষণ মামলা (নং ৩১) করেন। ঐদিন রাত পৌনে ১২টায় পুলিশ অসুস্থ ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ১৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায় পুলিশ। সকালে তাকে হাসপাতালের ওসিসিতে নেয়া হয়। সেখানে তার নির্যাতনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।