সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন (৩০) সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী এক অটোচালক। ফাঁড়িতে জীবিত ঢুকলেও মৃতপ্রায় অবস্থায় বের হন। ফাঁড়ির সিসিটিভির ফুটেজেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিষয়টি।
গত শনিবার (১০ অক্টোবর) এ ঘটনার রাতে ওই চালক ও তার আরেক সঙ্গীর দুটি অটোতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দুটি টিম টহল দেয়। এর মধ্যে একটি অটোতে রায়হানকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ।
ওই অটোচালক সিলেটভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, শনিবার রাতে সিলেট নগরীর কাস্টঘর এলাকার একটি সুইপার কক্ষ থেকে রায়হানকে বের করে নিয়ে আসে পুলিশ। এর আগে নগরীর মাশরাফিয়া রেস্টুরেন্টের সামনে অজ্ঞাত দুজন লোক পুলিশকে এসে খবর দেয়, কাস্টঘরের গলিতে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে একটি সুইপারের কক্ষ থেকে রায়হানকে ডেকে বের করে।
কিন্তু সেখানে কোনো ছিনতাই বা রায়হানকে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটতে দেখেননি। ওই গলি থেকে রায়হানকে বের করে দ্বিতীয় অটোতে উঠিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ। তখনও সুস্থ ছিলেন রায়হান। এসময় রায়হান পুলিশের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন এবং বলেন আমি কোনো ছিনতাইকারী বা অপরাধী নই।
Read More News
রায়হানকে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার পর দুই অটোচালক ফাঁড়ির বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে সকালে রায়হানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই দুই চালকের মধ্যে একজনের অটোতে করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
অটোচালক বলেন, সেই রাতে এসআই আকবর ফাঁড়িতেই ছিলেন এবং তার নির্দেশেই রায়হানকে মারধর করা হয়।