আবারও বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে সোনার বাজার। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮৫৬.৬২ ডলারে, যা আগের দিনের চেয়ে ১১.৪২ ডলার কম।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বড় ধরনের দরপতন ঘটে সোনার বাজারে। ওই দিন ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে ৩৮.৬৮ ডলার। বুধবার দিন শেষে সোনার দাম দাঁড়ায় ১৮৬১.৯০ ডলার/আউন্স। এরপর দিন আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার (গতকাল) প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৬.১৫ ডলার। গতকাল লেনদেন শেষ হয় ১৮৬৮.০৪ ডলারে।
দেশের বাজারে সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে দুই হাজার ৪৪৯ টাকা কমেছে। এতে ২২ ক্যারেট সোনার ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ দাম পড়বে ৭৪ হাজার ৮ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
Read More News
বাজুস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্য কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে বাজুসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্য অলঙ্কারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ভরি ৬২ হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তবে রুপার দাম আগের নির্ধারিত ৯৩৩ টাকাই বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতি ভরিতে দুই হাজার ৪৪৯ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। তার আগে গত ১৩ ও ২১ আগস্ট স্বর্ণের দাম কমিয়েছিল বাজুস।