চেকের বৈধ বিনিময় প্রমাণে ব্যর্থ হলে এ সংক্রান্ত মামলায় কোনো ব্যক্তিকে সাজা দেয়া যাবে না। এনআই এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় কনসিডারেশন বা চেক প্রাপ্তির বৈধ কারণ প্রমাণ করতে হবে। চেক ডিজঅনার মামলায় বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে এ যুগান্তকারী রায় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতি সমন্বয়ে আপিল বিভাগ বেঞ্চ ২০ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত এক আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন। যার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
Read More News
আপিল বিভাগের এ রায়ের ফলে চেকদাতারা তাদের নির্দোষ প্রমাণের একটা সুযোগ পেল। এছাড়া এ রায়ের ফলে চেক সংক্রান্ত মামলায় বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি ও হয়রানি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ রায়ের ফলে এখন থেকে বাদীকেই প্রমাণ করতে হবে কী চুক্তিমূলে বা বিবেচনায় চেকদাতা চেক ইস্যু করেছিলেন এবং সেই চুক্তিটি ব্যর্থ হয়নি যার কারণেই বিবাদীর কাছে বাদীর পাওনা বলবৎ রয়েছে।
জানা গেছে, আগে চেক ডিজঅনার হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চেকদাতার সাজা হতো। চেকমূলে চেকগ্রহীতার টাকা পাওয়ার কোনো কারণ আছে কি না, সেটি দেখার বাধ্যবাধকতা বা দিক নির্দেশনা ছিল না। এখন থেকে চেকগ্রহীতাকে প্রমাণ করতে হবে যে, চেকদাতা ও চেকগ্রহীতার মধ্যে লেনদেন সম্পর্কিত কোনো বৈধ চুক্তি ছিল কি না। সে চুক্তির শর্ত তিনি পূরণ করেছেন কিনা। তাহলেই কেবল চেক ডিজঅনার মামলায় সাজা হবে।