নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২১ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন আরো অনেকে। এশার নামাজ চলার সময় গতকাল শুক্রবার রাতে পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আজ শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Read More News
বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে অসংখ্য লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে মসজিদের ভেতর ছয়টি এসি দুমড়েমুচড়ে গেছে। ২৫টি সিলিং ফ্যানের পাখা বাঁকা হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের সময় শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন। আহতদের প্রথমে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে নেওয়া হয়।
আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সর্বাত্মক চেষ্টা করার জন্য।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের যা যা সুযোগ-সুবিধা আছে, সব ব্যবহার করে আমরা চেষ্টা করছি, বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা। সবাইকে বলব, আহতদের জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে দাফন সম্পন্ন করার জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।