সোমবার বিকেলেই অন্ত্যেষ্টি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। মুম্বইয়ের ভিলে পার্লেতে পবন হংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন।
দেশবাসীকে স্তম্ভিত করে রবিবারই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। শোকবিহ্বল বিনোদন, ক্রীড়া থেকে শুরু করে আপামর দেশবাসী। তাঁর পরিবার রবিবার রাতে পাটনা থেকে মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার সকালে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও মহেশ শেট্টিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিনে সুশান্তের মানসিক অবস্থা ঠিক কী রকম ছিল, তা জানার চেষ্টা করা হয়। অভিনেতার বোন পুলিশকে জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে তাঁর ভাই ভালো ছিলেন না। তবে তিনি যে চরম পদক্ষেপ করে ফেলবেন, তা কোনওদিন ভাবতেও পারেননি তিনি।
Read More News
রবিবারই সুশান্তের পরিবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সুশান্ত সিং রাজপুত আর আমাদের মধ্যে নেই। ও যে কাজ করে গিয়েছে, সেটা আর ওর জীবনকে সেলিব্রেট করার জন্য ভক্তদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এই দুঃখের সময়ে আমাদের একা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি সংবাদমাধ্যমের কাছে।
রবিবার দুপুরে বান্দ্রার বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সুশান্তের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ, মিলেছে প্রেসক্রিপশন। তবে, মেলেনি কোনও সুইসাইড নোট।
মুম্বই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই আত্মত্যার তত্ত্বই সত্যি ধরে নিয়েছে গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা ও তাঁর ‘আত্মহত্যা’ নিয়েই আলোচনা চলছে। তবে, অভিনেতার পরিবার কিন্তু চমকে দিয়ে রবিবারই সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
সুশান্তের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে। রিপোর্ট বলছে, ঝুলে থাকায় অ্যাসফিক্সিয়া (asphyxia)-র কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে, তার থেকে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে বা মারাও যেতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে অ্যাসফিক্সিয়া। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝুলে থাকায় এই অবস্থা তৈরি হয় সুশান্তের শরীরে। এটাই তাঁর মৃত্যুর কারণ।