করোনার কারণে বিশ্বের শ্রমবাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা পর্যালোচনা করাও বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বিশ্বে প্রতি ছয়জনের মধ্যে অন্তত একজন কাজ হারাবে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তাতে অন্তত ২শ’ কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। সহজে আগের অবস্থানে ফিরে আসবে না বিশ্ব অর্থনীতি। এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে এক মার্কিন গবেষণায়। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) উদ্ধৃতি দিয়ে রিয়া নভোস্তি এ খবর প্রকাশ করেছে।
Read More News
করোনা মহামারীর কারণে এ বছরই ওইসব মানুষ কাজ হারাবে, না হয় অস্থায়ী কোনো কাজের সন্ধানে ঘুরতে শুরু করবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাবেই এ বছর বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের আয় কমবে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
গবেষণায় আরও উঠে আসে, বিশ্বে বেকারত্ব হার ছাড়িয়ে যাবে ১৭ শতাংশ। কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন কিংবা লকডাউন পরিস্থিতি সরাসরি প্রভাব ফেলছে বিশ্ব শ্রমবাজারে।
মার্কিন গবেষকরা জানান, এ বছরের শেষ দিকে সার্বিক কর্মসংস্থান পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। কিন্তু করোনা মহামারী কর্মসংস্থানের অবকাঠামোকে যে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে তা আগামী এক দশকে দেড় বিলিয়ন কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ অটোমেশন পদ্ধতি ১২ শতাংশ কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং ৩০ শতাংশ কাজের জন্য সম্পূর্ণ নতুন দক্ষতার প্রয়োজন হবে। সমীক্ষা আরো বলছে, বিশ্বের ১০ শতাংশ শুধু অফিসে বসে স্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবে এবং এ সংখ্যা ৩০ শতাংশে উঠতে পারে।
শ্রমবাজারে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে ভর্তুকি ও সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াও অস্থায়ী কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে আগামী তিন বছরের জন্য শ্রমবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অভিন্ন কর্মকৌশল নেয়ারও তাগিদ দেন মার্কিন গবেষকরা।