ভিডিও কলে চাকরি গেল সাড়ে তিন হাজার কর্মীর

মাত্র তিন মিনিটের একটা ভিডিও কল। আর তাতেই চাকরি হারালেন সাড়ে তিন হাজার উবার কর্মী। যে ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে মার্কিন মুলুকে।

করোনার সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। ব্যতিক্রমী নয় উবারও। আর তাই আর্থিক ক্ষতে মলম লাগাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তই নেয় তারা।
Read More News

বৃহস্পতিবার জুম অ্যাপে কর্মীদের সঙ্গে তিন মিনিটের একটা ভিডিও কল করেন উবারের গ্রাহক পরিষেবা বিভাগের প্রধান রাফিন শ্যাভেলো। সেখানেই কর্মীদের দুঃসংবাদটি দেন তিনি। বলেন, “গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার জন্য একেবারে সামনে থেকে সাড়ে তিন হাজার কর্মী আমরা সরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি। এই সংস্থায় আপনাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজই উবারের সঙ্গে আপনাদের শেষ দিন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আমাদের। আমরা নিরুপায়।”

মাত্র তিন মিনিটের ভিডিও কলে এভাবেই ১৪ শতাংশ কর্মীকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর ঘোষণার পর নিজেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। শ্যালেভো বলেন, এই সিদ্ধান্ত জানানো তাঁর পক্ষে বেশ কঠিন ছিল। তিনি জানেন, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মনের মধ্যে কী ঝড় বইছে। তাই বলেছেন, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের বকেয়া অর্থ ও প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হবে।

বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই উবারের কাস্টমার কেয়ারে কাজ করতেন। অনলাইন অ্যাপ ক্যাব সংস্থাটি জানায়, করোনা মহামারির জেরে তাদের পরিষেবার চাহিদা অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তাই কাস্টমার পরিষেবায় এত কর্মীর প্রয়োজন নেই। তবে পূর্বের কোনও নোটিস ছাড়াই এভাবে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কর্মীরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে মার্কিন মুলুকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিতর্কের ঝড় বইছে। এই সংস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *