যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে কর্মহীন মানুষের বিক্ষোভ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়, ক্ষুধার জ্বালা দমিয়ে রাখতে পারছে না।
আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবার চালু করার দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এসব রাজ্যে গভর্নরদের জারি করা লকডাউন তুলে নেবার দাবিতে এই বিক্ষোভ।
রোববার অ্যারিজোনা, কলোরাডো, মন্টানা এবং ওয়াশিংটন স্টেটে বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে বিক্ষোভ হয় আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। তবে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ছিল ১০০-২০০র মধ্যে। আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা তাড়াতাড়ি তুলে নিলে সংক্রমণ আবার লাফিয়ে বাড়ার ঝুঁকি থাকলেও বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য দাবি এবং আন্দোলন বাড়ছে।
Read More News
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিচ্ছেন। বিশ্বে করোনাভাইরাস সংকটের এপিসেন্টার বা মূল কেন্দ্র হল আমেরিকা। সেখানে নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ। মারা গেছে প্রায় ৪২ হাজার।
ইউরোপে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ছাড়া বেশিরভাগ দেশে লকডাউন শিথিল হওয়ায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা। এর মধ্যেও বিশ্বজুড়ে থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার।
করোনার ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মহীন ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। পেটের দায়ে লকডাউন তুলে নিতে, রাজপথে টানা বিক্ষোভ করছেন, মিজৌরি, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়াসহ অন্তত ১০ রাজ্যের বাসিন্দা।
যুক্তরাজ্যে পিপিই সংকটে আছেন চিকিৎসকরা। তাই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাসভবনের সামনে দেখা মেলে এমন বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারী বলছেন, যে সব চিকিৎসক, নার্স প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। যথেষ্ট সুরক্ষা সামগ্রী থাকার ফাঁকাবুলি দিচ্ছে সরকার। অথচ আমার মতো অন্তঃস্বত্ত্বা অনেক নারী ঝুঁকি নিয়েই ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন।
সৌদি আরবের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে রমজানেও নামাজসহ সব ইবাদত স্থগিত করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশটির সব মসজিদে জামাতে নামাজ স্থগিত করা হয়।