করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী পাওয়ার পর ঢাকার নয়টি এলাকার বিভিন্ন বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযন্ত ওই এলাকার কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না, সেখানে কেউ ঢুকতেও পারবেন না। এদিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে যে এলাকায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সে এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যাতে ছোঁয়াচে রোগটি আরো ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
সংক্রমণের শুরুর দিকে ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগে রোগী খুঁজে পাওয়ার পর ওই এলাকাটি আগেই লকডাউন করা হয়েছিল। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকার বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, বছিলা, বাড্ডা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবন লকডাউন করার ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
Read More News
এদিকে পুরান ঢাকায় খাজে দেওয়ান লেনে একটি মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও এক নারীর নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়ায় ওই এলাকার ২০০ ভবন লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার ৬টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার কয়েকজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ পায়। এরপরেই বাসাগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।
এরমধ্যে কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোড, বছিলা ও আদাবর এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও রাস্তা এখন লকডাউন। এসব এলাকা ঘিরে লাল ফিতা, পতাকা লাগিয়ে চলাচলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ঘনঘন মাইকিং করা হচ্ছে।
পাশাপাশি রাজধানীর উত্তর বাড্ডার খানবাগ রোডের এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়। এছাড়াও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়।