করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে রেহাই পাচ্ছে না কোনোকিছুই। ক্রীড়াজগতেও পড়তে শুরু করেছে মরণঘাতী এই ভাইরাসের প্রভাব। এরিমধ্যে জাপানের ফুটবল ইভেন্টগুলো স্থগিত করা হয়েছে। জে লিগের সমস্ত ম্যাচ এবং লেভাই কাপের ম্যাচ ১৫ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি দেখে নেয়া হবে। স্থগিত রাখা হয়েছে জাপানে জে লিগের ম্যাচ। মঙ্গলবার ফুটবল ফেডারেশনের তরফে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিকও।
Read More News
আগামী ২৪ জুলাই টোকিওতে অলিম্পিকের পর্দা উঠার কথা। তবে দেশটিতে নতুন করে আরো বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থগিত কিংবা স্থান পরিবর্তন নয়, বরং বাতিলই হয়ে যেতে পারে অলিম্পিক গেমসে এবারের আসর।
কানাডার সাবেক চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু ডিক পন্ড ১৯৭৮ সাল থেকে আইওসিতে কাজ করছেন। বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারের বরাতে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, তিন মাসের একটা উইন্ডো আছে। তবে দুয়েক মাসের মধ্যেই অলিম্পিক গেমসের ভাগ্যে কি আছে সেটা নির্ধারণ হয়ে যাবে। মে মাসের শেষ নাগাদ সিদ্ধান্তটা হয়ে যেতে পারে।
ইভেন্টটি কাছাকাছি চলে আসলে অনেক কিছুই শুরু করতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখতে হবে, খাবার, অলিম্পিক ভিলেজ, হোটেল। অনেক গণমাধ্যমকর্মী সেখানে যাবেন, তারা তাদের স্টুডিও বসাবেন। ইভেন্টটি স্থগিত করলে কিংবা নতুন ভেন্যুতে সরিয়ে নিলে সেজন্য যে পরিমাণ প্রস্তুতির দরকার তা দুয়েক মাসে তো নয়ই, লেগে যেতে পারে দুয়েক বছরও।
এসব কারণে পন্ড জানান, টোকিও অলিম্পিক যদি পূর্ব নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা সম্ভব না হয় তাহলে আইওসি এটিকে বাতিলই করে দিতে পারে।
উত্তর টোকিওর এমন একজন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যিনি উত্তর টোকিওর সেই জিম ব্যবহার করেন যেখানে অলিম্পিকের তাইকোয়ান্দ, ফেন্সিং, রেসলিং এবং সার্ফিংয়ের ইভেন্টগুলো আয়োজন করা হবে।
যদিও জাপানের আয়োজকরা জানিয়েছেন, গেমস বাতিল বা সময় পরিবর্তন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারপরেও চীনের বাইরে বিশেষ করে জাপানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বড় শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিয়েছে অলিম্পিক গেমসকে।