সাগর পথে মালয়েশিয়াগামীদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা যুবতী

অবৈধ ভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়াগামীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল রোহিঙ্গা যুবতী। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালালদের ৩০ হাজার টাকা দেয়ার কথাও জানান ওই যুবতী। কিন্তু এমন দুর্ঘটনায় পতিত হবো কখনো ভাবিনি।

বিয়ে করে সংসারী হতে দল বেঁধে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন তারা। এদের কারো সদ্য বিয়ে হয়েছে, কারো বিয়ে হয়েছে বছর দুয়েক আগে। আবার অনেকে বিয়ে চূড়ান্ত করে যাচ্ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের স্বামী মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছে। তাই জীবনবাজি রেখে সাগরপাড়ি দিয়ে প্রিয়জনদের কাছে যাচ্ছিলেন এসব রোহিঙ্গা যুবতী। পাসপোর্ট জটিলতার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথ বেছে নেন বলে জানান উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা যুবতীরা।

মঙ্গলবার ভোরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটি ডুবে নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনই নারী। আবার উদ্ধার হওয়া ৭২ জনের মধ্যেও ৪৬ জন নারী। যাদের বয়স ২০-২২ এর মধ্যে।
Read More News

এসব সুন্দরী যুবতীদের সঙ্গে কিছু বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাও রয়েছেন। এদের মাঝে নুর বানু ও ছলেমা খাতুন বলেন, স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় ট্রলারে মালয়েশিয়া পৌঁছাতে চেষ্টা করেছিলাম। এভাবে মাঝ সাগরে ট্রলার ডুবে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে কল্পনাও করিনি।

বৌ, প্রেমিকা এবং দালাল চক্র এই তিনের সমন্বয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছিলেন শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু। নিরাপদে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রথম দফায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে দালাল চক্র।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার, নৌবাহিনীর ডুবুরি ও কোস্টগার্ডের প্রশিক্ষিত সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *