বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইসিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আগে বলেছিলাম ইভিএম বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে। এখন সেটা বলছি না। সাগরে ফেললে পরিবেশ দূষণ হতে পারে। তাই বলছি ইভিএম কেজি দরে স্টিল মিলে বিক্রি করে দিন। তাতে অন্তত অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে।’ ‘সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বনাম ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভা হয়। এতে আমীর খসরু আরও বলেন, দেশ থেকে ভোট চুরির আরেকটি অস্ত্র ইভিএমের বিলুপ্তি ঘটাতে চাই। কারণ ইভিএম সম্পর্কে আর দেখার-বোঝার বাকি নেই।
Read More News
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনের আর কোনো প্রয়োজন নেই। যে পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে তাতে তো এটা স্পষ্ট- ইসি নয়, নির্বাচন করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ভোট করছে সরকারি কর্মচারীরা, ভোট করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ। তাহলে শুধু শুধু ইসির কী দরকার?
আমীর খসরু বলেন, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে পাশে নিয়ে ভোট চান এর থেকে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘনের আর কী উদাহরণ হতে পারে। যখন সরকার প্রধান সরাসরিভাবে ভোটের দিন সকালে প্রার্থীকে পাশে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন এরপর আর ভোট বলতে কিছু থাকে না।
খসরু বলেন, নির্বাচনের সময় ইভিএম মেশিনে অনেকেরই আঙ্গুলের ছাপ মেলেনি। আসলে এটাই তো হবার কথা। কারণ আগুলের ছাপ মেলানোর জন্য তো তারা ইভিএম নিয়ে আসেনি। টিপলেই নৌকায় ভোট পাওয়া যায়, তাহলে কষ্ট করে আর আগের রাতে নির্বাচন করার কী দরকার? ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বাক্সে ভরে পাহারা দিয়ে আবার হিসাব মেলে না। কোনো কোনো জায়গায় এক শতাংশের বেশি ভোট হয়ে যায়। তাহলে এতসব ঝামেলার দরকার কী? ইভিএম টিপবেন আর নৌকায় ভোট পাবেন, যত টিপবেন তত ভোট পাবেন। ৫/৬ শতাংশের উপরে ভোট পড়েনি অথচ শেষে তারা ২৪ শতাংশ ভোট দেখিয়ে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন