জুয়াড়ির নাম দীপক আগারওয়াল কাছে থেকে প্রস্তাবের বিষয়টি গোপন রাখার দায়ে দুই বছরের জন্য সবধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি।
ওই জুয়াড়ির নাম দীপক আগারওয়াল। তার আসল নাম বিক্রম আগারওয়াল। ভারতীয় এবং জুয়াড়ি হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে বেশ পরিচিত তিনি। এর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের চেষ্টার কারণে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু)। এ কারণে তার টেলিফোন কল রেকর্ড থেকে শুরু করে চালচলন, তার থাকা-খাওয়া সবকিছুর ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারি রয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার।
Read More News
অপকর্মের কারণে বেশ কয়েকবার আটকও হয়েছেন দীপক আগারওয়াল। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারতের রায়গড় শহর থেকে আরও দুই জুয়াড়িসহ আটক হয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে আটককৃতদের কাছ থেকে জুয়ার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়। তখন ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছত্তিসগড়ের পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়াড়ি চক্রের প্রধান দীপক আগারওয়াল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে।
ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকলেও দীপক আগারওয়াল মূলত একজন হোটেল ব্যবসায়ী। ভারতের চেন্নাইয়ে তার দুটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল আছে। আর এই হোটেল ব্যবসার মাধ্যমেই ভাগ্য বদল হয় তার। রাতারাতি কোটিপতি বনে যান তিনি। এরপরই জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
সাকিবের এক পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল নম্বরের খোঁজ পান দীপক আগারওয়াল। পরে হোয়াইটসঅ্যাপে সাকিবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগযোগ করে তিনবার ম্যাচ পাতানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সাকিব তার প্রস্তাবে সাড়া দেননি। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি আইসিসি’র দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা আকসুকেও কিছু জানাননি। আর এই অপরাধে তাকে আপাতত এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে।