সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর

চিত্রনায়িকা মৌসুমীর চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতির পদে এবারই প্রথম কোনো নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছেন। মৌসুমী জিতলে শিল্পী সমিতির যাত্রা শুরুর পর এবারেই প্রথমবার সমিতি পেতো কোনো নারী নেতৃত্ব।
Read More News

শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কিংবা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই মৌসুমীর। ফলাফল হয়েছে যা সেটাই তিনি মেনে নিয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন। মৌসুমী বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমি কোনো অভিযোগ করতে চাচ্ছি না।

নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জয়ী প্যানেলকে শিল্পী সমিতির স্বার্থ রক্ষা হয়, এমন সব ধরনের কাজে সমর্থন দিবেন বলেও জানান তিনি।

মৌসুমী বলেন, শিল্পী সমিতি যে সিদ্ধান্তগুলো নেবে সেগুলোর সঙ্গে আমিও একমত থাকব। শিল্পীর জন্য কাজ করলে আমি ওদের পাশে থাকব। কিন্তু ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে হাত বাড়াবো না। শিল্পীদের উন্নয়নে কিছু করে সেখানে অবশ্যই যাবো।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন মৌসুমী, এই সাহসের সাধুবাদ জানিয়েছেন মিশা সওদাগর। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। দিনের শেষে সবাই আমরা শিল্পী। একটি পরিবারের সদস্য সবাই। নির্বাচনে একা লড়াই করে মৌসুমী যে সাহস দেখিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। মৌসুমীর জন্য শুভ কামনা সব সময়।

মিশা সওদাগর আরও বলেন, মূলত এবারের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর ছিলেন ডিপজল ও রুবেল ভাই। এই দুজনেই চলচ্চিত্র শিল্পীদের খুব কাছের মানুষ। ইন্ডাস্ট্রির যেকোনো মানুষের বিপদে তারা পাশে থাকেন। তারা নিরবে-নিভৃতে সহযোগিতা করেন। এই দুজন মিশা-জায়েদ প্যানেলে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই সব হিসাব-নিকাশ পরিবর্তন করেন।

অন্যদিকে মিশা সওদাগর তার দুই বছরের হিসাব তুলে ধরে বলেন, আমরা গেল দুই বছর যে কাজগুলো করেছি তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার। কাজ আর শিল্পীদের মধ্যে পৌঁছানোর মধ্যে যে ভালোবাসা তৈরি হয়েছে তা নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে শিল্পীরা দেখিয়ে দিয়েছেন।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ২২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *