তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভিন্ন গুজবের পাশাপাশি বর্তমানে ডেঙ্গু নিধনে হারপিক ব্যবহারের গুজব ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি।
রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এবারের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রকৃতি অন্যবারের তুলনায় ভিন্ন হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে আরও বেশি।
Read More News
এমন অবস্থায় বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, মূলত ফেসবুকে ইনবক্সে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে একটি বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর সবাই বেসিন ও কমোডে ৫০০ এমএল করে হারপিক ও ৫০০ গ্রাম করে ব্লিচিং পাউডার এক সঙ্গে ঢাললে ড্রেনে যত মশা আছে সব মরে যাবে।
বার্তাটিতে দাবি করা হয়েছে, ‘এতে করে ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ ড্রেন, ডোবা-নালাসহ মশার ডিম পাড়ার পানির উৎসে থাকা মশা এবং লার্ভা ধ্বংস হয়ে যাবে’। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং এটি মানব স্বাস্থ্য, জলজ প্রাণী, উদ্ভিদ, পরিবেশ এবং প্রতিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ও স্থায়ী বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিবরণীতে জনগণকে গুজবটিতে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করে।
এছাড়া জনগণের মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমেও এ বিষয়ে সতর্ক করছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ক্ষুদেবার্তায় ‘হারপিক আর বেকিং পাউডার বেসিনে ঢালার নির্দেশ পুরোই গুজব। গুজবে কান দেবেন না। এতে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বদলে ক্ষতি হবে আরও বেশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ’ বলে সতর্ক করা হচ্ছে।