ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা ২৮৮

শনিবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝামাঝি সুন্দ্রা প্রণালিতে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকা ‘বানতেন’-এর একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধস থেকে সুনামির সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সমুদ্রের উচ্চমাত্রার জলতরঙ্গ পর্যটনসমৃদ্ধ সৈকতে এসে আছড়ে পড়ে। ভেসে যায় শত শত মানুষ। ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা।

শনিবার রাতে সৃষ্ট সুনামিতে সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বাড়ছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি।
Read More News

বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথাগত বা স্বাভাবিক ভূমিকম্পের কারণে এই সুনামির সৃষ্টি হয়নি। ‘আনাক ক্র্যাকাটোয়া’ আগ্নেয়গিরির উদগিরণ শুরু হলে তার অভিঘাতে সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধস হয়। এ থেকেই সৃষ্টি হয় সুনামির। পূর্ণচন্দ্রের প্রভাবে সমুদ্রের জলতরঙ্গ ব্যাপক উচ্চগতিতে সৈকতে এসে আছড়ে পড়ে।

ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। কারণ, এটি ‘রিং অব ফায়ার’ নামক ভয়াবহ এক আগ্নেয়গিরির চক্রের ওপরে অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর যাদের অবস্থান, সারা দুনিয়ার এমন যত জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে, তাদের অর্ধেকের বেশি এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *