মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের দ্বিতীয় আসরেও অভিযোগ উঠেছে, প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেরা দশে উঠে আসা আফরিন লাবণী নাকি বিবাহিত।
জানা গেছে, তার স্বামীর নাম আতাউর রহমান আতিক। সে জামালপুরের বাসিন্দা। সদরে বাগেরহাট কলেজ রোডে তার বাড়ি। পেশায় ব্যবসায়ী আতিক কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছেন।
Read More News
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট জামালপুর কোর্টে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। দুই বছর সংসার করার পর ২০১৬ সালের ১৭ মে তাদের ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর লাবণীর নামে দু’টি চুরির মামলাও হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মামলাগুলো এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
লাবণীর সাবেক স্বামী আতাউর রহমান আতিক বলেন, ‘২০১২ সালের শেষের দিকে আমাদের চেনা জানা শুরু হয়। এরপর প্রেম। তখন আমি ঢাকাতেই থাকতাম। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু সে ভালোবাসার মর্যাদা দেয়নি। ওর মায়ের চিকিৎসা আর ওর পিছনে অনেক টাকা ব্যয় করেছি। চকবাজারে সামসুল হক টাওয়ারে ওর নামে (আফরিন এস এল এন্টারপ্রাইজ) আমার দু’টি দোকান ছিল, যা এখন নেই। সে আমার অনেক টাকা নিয়ে ভেগে যায়। ওর নামে চুরির মামলাও করেছি। মামলার এখন চার্জশিট হচ্ছে। এখন সে ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। ক্ষমতাবলে ২০১৬ সালের মামলা ২০১৮ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।’
মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিতায় বিয়ে ও ডিভোর্সের তথ্য গোপন করেছেন লাবণী। প্রতিযোগিতাটির আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরীকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন আতিউর। কিন্তু আয়োজক জানিয়েছিলেন লাবণী তো আর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হয়নি। তাই আর কোনো পদক্ষেপ নেননি তারা।
প্রায় ৩০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এবারের আসরে মুকুট জয় করে নেন পিরোজপুরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।
তবে ঐশীর চেয়ে এবারের আসরে আলোচনায় এগিয়ে ছিলেন দুইজন। তারা হচ্ছেন লাবণী ও অনন্যা। এর মধ্যে আফরিন সুলতানা লাবণী আলোচনায় চলে আসেন বিচারকদের প্রশ্নের হাস্যকর উত্তর দিয়ে। লাবণীকে এক বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমাকে যদি তিনটি উইশ করতে বলা হয়, সে উইশগুলো কী হবে এবং কাকে উইশ করতে চাও?’ জবাবে লাবণী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সি-বিচ কক্সবাজার, সুন্দরবন এবং পাহাড়-পর্বতকে তিনি উইশ করতে চান।