আজ সোমবার সারা দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা চার হাজার মামলা এবং তিন লাখেরও বেশি লোককে আসামি করার বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিটের শুনানি হয়েছে।
শুনানিকালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতো লোক ককটেল বিস্ফোরণ করবে এটাও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? এটা ঠিক না। এ ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতো লোকদের বিরুদ্ধে এমন মামলা হলে জনগণের কাছে কি ম্যাসেজ যাবে?
Read More News
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
দুপুর আড়াইটার দিকে শুনানির শুরুতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পক্ষের আইনজীবী ড. কামাল হোসেন আদালতে বলেন, গত মাসের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার গায়েবি মামলা করা হয়েছে। অনেক লোককে আসামি করা হয়েছে যারা মৃত ব্যক্তি। আবার অনেকে এ সময় হজে ছিলেন। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে জীবনযাপন করছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুর রেজাক খানকে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছে। তাহলে মৃত ব্যক্তি কি কবর থেকে উঠে এসে ককটেল বিস্ফোরণ করে গেছেন? এসব হাস্যকর মামলা করা হলে জনগণের কাছে কী ম্যাসেজ যাবে?
এ সময় আদালত ড. কামাল হোসেনকে বলেন, আপনারা কি চান? জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা এসব গায়েবি মামলার বিষয়ে তদন্ত কমিশন চাই।
এ সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুলকে বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেনের মতো লোক ককটেল বিস্ফোরণ করবে এটাও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? এটা ঠিক না।
শুনানির শুরুতে কয়েকটি মামলার এজাহার পর্যবেক্ষণ করে হাইকোর্ট বলেন, এ ধরনের মামলায় (গায়েবি) পুলিশের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়।