শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে খরচ কমালে মিশনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে খরচ এবং কর্মীর সংখ্যা কমালে তা শান্তি মিশনের কাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। শান্তিরক্ষায় সামনের সারিতে যারা কাজ করছে; তাদের উদ্বেগের বিষয়টি আবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। সংঘাতপ্রবণ এলাকার মানুষের জান মাল রক্ষার পাশাপাশি শান্তি ফিরিয়ে আনতে ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ভূমিকা বরাবর প্রশংসা পেলেও বাজেট স্বল্পতার কারণে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও তাদের কর্মক্ষমতায় অনেক ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
Read More News

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষীদের এমন সব জায়গায় পাঠানো হয় যেখানে অশান্তি বিরাজ করছে। সেখানে তাদের নানা ধরনের অরাজকতা ও হুমকির মোকাবিলা করতে হয়। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানের সেনা সদস্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে পাশাপাশি কাজ করেন। এসব বিষয় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে কঠিন ও বিপজ্জনক করে তোলে। এ কারণে শান্তিরক্ষীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে। আর সেই দায়িত্ব পালনে তাদের যথেষ্ট কর্তৃত্ব এবং আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করতে হবে। মোতায়েনের ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা বিবেচনায় নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তা অবশ্যই বাড়াতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উদ্যোগে ‘অ্যাকশন ফর পিস কিপিং’ শীর্ষক ওই বৈঠকে শান্তি মিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশ্বের মানুষের মঙ্গলের জন্য। সুতরাং এ কার্যক্রমের মর্যাদা রক্ষায় অবশ্যই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বহু মানুষের জীবনে জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আশার আলোকবর্তিকা; তাই এটাকে আমাদের অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *