পাকিস্তানে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পাওয়ায় দলটি জোট সরকার গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী, ২৭২টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পিটিআই ১১৮টি আসন জিতেছে। অন্যদিকে নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬৪ আসনে এবং বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪৩টি আসনে জয়ী হয়েছে।
Read Our More News
পাকিস্তানের বাকি আসনগুলোর মধ্যে মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল ১৩টি, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান ৬টি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদি (পিএমএল-কিউ) ৫টি, গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক জোট ২টি, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি ২টি, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি দুইয়ের অধিক আসন পেয়েছে। এছাড়া ১৩টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
সরকার গঠন করতে ইমরান খানের প্রয়োজন ১৩৭ আসনের। ১১৮টি ঝুঁলিতে থাকায় সরকার গঠন করতে পিটিআইয়ের দরকার আরও ১৯টি আসন। ইমরানের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল পিএমএল-এন ও পিপিপি-এর জোট সরকারে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই বাকি ছোট ছোট দল ও স্বতন্ত্র সাংসদদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে পিটিআইয়ের।
এরই মধ্যে ৬টি আসন পাওয়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান(এমকিউএম-পি) তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সঙ্গে জোট গঠনে দিকে একটু একটু করে এগুচ্ছে। নির্বাচনের দিন ফল প্রত্যাখ্যান করলেও এখন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করা দলগুলোর কাছেও তারা ঘেঁষতে রাজি না। এমনকি তারা জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান আয়োজিত বহুদলীয় সম্মেলনে যাবে না বলে জানিয়েছে। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে এমকিউএম-পি ইমরান সরকারের সঙ্গে থাকছে।
সরকার গঠন করতে দরকার আরও ১৩টি আসন। এজন্য পিটিআই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদি (পিএমএল-কিউ), আওয়ামী মুসলিম লিগ (এএমএল), বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি)র পাশাপাশি স্বতন্ত্র ১৩টি আসনে জয়ীদের সঙ্গেও কথা বলছে। এরই জের ধরে পিটিআইয়ের দাবি, এদের সবার সমর্থন মিললে সরকার গঠনের জন্য ১৩৭ আসন তো হবেই, ১৪০-১৪২ আসনও ছাড়িয়ে যেতে পারে।