বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে। বুধবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফাইভ-জি সেবা এখনই ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার করা যাবে না। শুধু ফাইভ-জি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
Read Our More News
গত ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর জি সেবা চালু হয়। ফোর জি নেটওয়ার্কের সুবিধাই আমরা এখনও ঠিকমতো পেলাম না ? থ্রি জি এবং ফোর জি নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিগত দিকের সঙ্গে ফাইভ জি প্রযুক্তির বড় ধরণের পার্থক্য আছে। ফোর জি নেটওয়ার্কে ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ ৭০০ মেগাহার্টজের। আর ফাইভ জি’র ক্ষেত্রে এই ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ থাকে ৫ গিগাহার্টজ (৫০০০ মেগাহার্টজ)। এমনকি স্যাটেলাইটগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জও থাকে ৩.৫ গিগাহার্টজ থেকে ৫ গিগাহার্টজ। স্যাটেলাইটের মতো হুবহু সুবিধা না পাওয়া গেলেও একেবারেই কাছাকাছি সুবিধা দেবে ফাইভ জি।
ফাইভ জি নেটওয়ার্কে লেটেন্সি অনেক কম থাকবে। আর এই সুবিধা ডাটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। উদাহরণ স্বরূপ, থ্রি জি এবং ফোর জি’র বেশি লেটেন্সির কারণে এটিএম বুথ কিংবা এরকম অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে না। কারণ, এতে একই সময়ে ক্লোন কার্ড ব্যবহার করে একাধিক বুথ থেকে টাকা তোলা হলে নেটওয়ার্কের লেটেন্সির কারণে তা অনেক সময় ধরা যায় না। অর্থাৎ, একই সময়ে একাধিক বার টাকা তোলা হলেও সেটা একবারই দেখায়। কিন্তু ফাইভ জি সফলভাবে চালু হলে ব্যাংকগুলোর মতো আরও অনেকেই যেখানে অনেক সিকিউরড নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা প্রয়োজন কিংবা কম লেটেন্সিতে নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রয়োজন পরে তারা ব্যপকভাবে সুবিধা পাবে।
ফাইভ জি নেটওয়ার্ক যদি সফলভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি)। এছাড়া কম লেটেন্সিতে উচ্চগতিতে তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে কক্ষপথে পাঠানো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যে সব সেবা দেওয়া হবে তার অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে ফাইভ জি’তেও। স্যাটেলাইটের ডেটা আদান-প্রদান লেটেন্সি এবং ফাইভ জি নেটওয়ার্কের লেটেন্সি কাছাকাছি হওয়ায় ব্যান্ডউইডথ এর মূল্যের দিক দিয়ে ফাইভ জি হবে অনেকগুন বেশি সাশ্রয়ী। যদি সমান হয় এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথের দাম যদি বেশি হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ফাইভ জি বেশি জনপ্রিয়তা পাবে।