সব দম্পতিই বাবা-মা হতে চান। কিন্তু অনেক সময়ই সন্তান ধারণে সমস্যা দেখা দেয়।
সন্তান ধারণে যে নারীরাই সমস্যায় পড়েন, তেমনটা নয়। ৩১ বছর বয়সের উর্ধ্বে প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষও বন্ধ্যাত্বের শিকার।
গবেষকদের মতে, বর্তমান লাইফস্টাইলই এর জন্য দায়ী। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, সুস্থ পরিবেশে থাকার অভাব, অবাধ যৌনজীবনই বন্ধ্যাত্বের কারণ। তাই চিকিৎসকদের সর্বপ্রথম পরামর্শ, সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সুস্থ জীবনযাপন করা অত্যন্ত জরুরি। নাহলে সংসারে নতুন সদস্য আনার প্ল্যান মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলাই শ্রেয়। ভাল বাবা-মা হতে হলে আপনাকেও তো পরিশ্রম করতে হবে। তাই এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন।
Read More News
বয়স: সন্তান ধারণে বয়স একটা বড় ফ্যাক্টর। ২০ বছর বয়সে আপনি কীরকম জীবনযাপন করছেন, তা এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। ৩৫ বছরের মধ্যে মহিলারা গর্ভধারণ করতে পারলেই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ছেলেদের ক্ষেত্রে সেই বয়সটা ৪০-এর মধ্যে।
ওজন: অতিরিক্ত বেশি কিংবা অতিরিক্ত কম ওজন বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে। কম ওজন হলে নারীদের হরমোনের ব্যালেন্স সঠিক থাকে না। ফলে গর্ভধারণে সমস্যায় পড়তে হয়। একই অসুবিধা হয়ে থাকে পুরুষদের ক্ষেত্রেও।
ধূমপান: শ্বাসকষ্ট, তো বটেই, ধূমপান ক্যানসারের মতো মারণরোগও ডেকে আনে। ধূমপান মহিলাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়? সিগারেট শরীরের ফ্যালোপাইন টিউবকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যা ডিম্বানু গর্ভে মসৃণভাবে পৌঁছাতে পারে না।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নানাভাবেই শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণও দুশ্চিন্তা। মানসিক চাপ পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট ও স্পার্মের গুণাগুণ নষ্ট করে। এক্ষেত্রে নারীদের ডিম্বস্ফোটনে সমস্যা হয়।