মামলায় লড়ে মেয়ে মিশেল আমানি সায়রার পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন ছোট পর্দার তারকা বাঁধন। আজ সোমবার ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক এই রায় দেন।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর স্বামী মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদের পর গত বছরের ৩ আগস্ট মেয়ের অভিভাবকত্ব চেয়ে মামলা করেন বাঁধন। প্রায় নয় মাস পর আজ রায় হয়।
মামলা করার পর বাঁধন তখন বলেছিলেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর মেয়ে সায়রাকে নিয়ে যান তার সাবেক স্বামী মাশরুর। এরপর মেয়েকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। সায়রা কার কাছে থাকবে, মা হিসেবে নিজের অধিকার পাওয়ার জন্য মামলা করেন বাঁধন।
Read More News
আজকের রায়ে আদালত বলেন, ‘কন্যাশিশুর অভিভাবক হচ্ছেন মা। মায়ের জিম্মাতেই মেয়ে থাকবে। কন্যাশিশুকে নিয়ে মা দেশের ভেতরে ও বাইরে যেতে পারবেন।’
রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে বাঁধন সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখন তিনি মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়ের অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য গত নয় মাস আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। আজ আমি নিশ্চিন্ত। মাননীয় আদালত মেয়ের পূর্ণ অভিভাবকত্ব দিয়েছেন আমাকে।’
সাড়ে ছয় বছরের সায়রা এখন সানবিমস স্কুলে কেজি ওয়ানে পড়ছে। সে মায়ের কাছে থাকলেও বাবা গিয়ে তাকে দেখে আসতে পারবেন। আদালত রায়ে বলেন, বাবা মাসে কেবল দুই দিন মায়ের বাড়িতে গিয়ে মায়ের উপস্থিতিতে মেয়েকে দেখে আসবেন।
রায়ের সময় আদালতে সায়রার বাবা মাশরুর সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন না।
এই রায় শুধু বাংলাদেশ নয় উপমহাদেশে উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাঁধনের আইনজীবী দিলরুবা শারমিন। আর মামলাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি মানবিক দিকটি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে শারমিন বলেন, আমরা মামলাটি কেবল আইন দিয়ে নয়, মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিচালনা করেছি।