যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মেয়াদ শেষে বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে দিলেও দূতাবাসের মাধ্যমে ট্রাভেল পাস (ভ্রমণ ভিসা) নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ (ডিআইপি)।
‘বর্তমানে তারেক রহমান বাংলাদেশি পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন’ এমন তথ্য জানিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘তারেক রহমান ২০০৮ সালে যখন বিদেশ যান, তখন হাতে লেখা পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। তার পরে আর মেয়াদ বৃদ্ধি করেননি।’
Read More News
‘এরপর তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের এমবাসিতে পাসপোর্ট জমা দেন। তারপর সেটা আমাদের হাতে আসে। সুতরাং তিনি এখন বাংলাদেশি পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পাসপোর্ট নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
এ আলোচনার সূত্রপাত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গত রোববার লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম জানান, চার বছর আগেই পাসপোর্ট হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন তারেক রহমান। তিনি আরো জানান, ব্রিটিশ হোম অফিস ২০১৪ সালের ২ জুন তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠিয়ে দেয়। ফলে এখন বাংলাদেশ ভ্রমণের আইনি কোনো কাগজপত্র তাঁদের কাছে নেই।
পরে শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য খণ্ডন করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয় বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন বরেণ্য রাজনীতিকের মতো তাঁর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং তিনি সেটা পেয়েছেন।’