সরকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে আউটসোর্সিং এর আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান তৈরি করতে পারছে না বাংলাদেশ। বিভিন্ন কল সেন্টার ও আউটসোর্সিং এর মতো বিপিও প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে দৃশ্যমান অবদান রাখছে এ খাত।
তবে, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের দাবি এ খাতের ব্যবসায়ীদের।
তথ্য প্রযুক্তির অবাধ সম্প্রসারণের ফলে বিশ্বের বহু প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক যোগাযোগ কিংবা ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য নেয় কল সেন্টারের। সাম্প্রতিক সময়ে আউটসোর্সিং কাজের ব্যয় কমাতে অপেক্ষাকৃত কম মজুরীর দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছে বড় অর্থনীতির দেশগুলো।
Read More News
বিশ্বজুড়েই কল সেন্টার উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ও স্মার্ট পেশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর কাছে। বাংলাদেশও প্রায় দেড় লাখ মানুষ কাজ করছে দেশের দুই শতাধিক কল সেন্টার ও আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানে।
রাজধানীর একটি কল সেন্টারের এক নারী কর্মী বলেন, পড়াশুনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক যে সাপোর্টটা আমরা পাচ্ছি সেটা আসলেই আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
৬00 বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও খুব সামান্যই। আউটসোর্সিং খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, কল সেন্টারের উপযোগী কারিগরি সহায়তা, দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাব আর সরকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। এসব সংকট কাটাতে করনীয় নির্ধারণে বিপিও সামিট বড় ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং-এর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘বর্তমান যে লেভেলটা আছে সেটা কিন্তু দক্ষ জনবলের জন্য না। আমাদের যে ছেলে-মেয়েরা আসছে তাদের যদি অ্যানালিটিকাল দক্ষতা না থাকে তাহলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে এটি টেকসই হবে না।’
ফিফো-টেক ডট কম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অবকাঠামো ঠিক করলাম, বড় অফিস করলাম কিন্তু যদি আমাদের তরুণ জনশক্তি না থাকে তাহলে আমরা কিন্তু কাজ করতে পারবো না। দুই দিনের যে সামিট হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের বাইরে থেকে প্রায় বিশ জন প্রতিনিধি আসছেন যারা বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির মালিক বা ডিসিশন মেকার।’
বিপিও খাতে সারা বিশ্বের ৬শ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে এশিয়ায় ভারত ১ শ বিলিয়ন, ফিলিপাইন ১৬ বিলিয়ন ও শ্রীলংকা আয় করছে ২ বিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ্য আগামী তিন বছরের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের সঙ্গে ৫ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান।