জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে আটক

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিরাইমপুর গ্রাম থেকে শওকতসহ জালিয়াতির চক্রের চার সদস্যকে আটক করে র‌্যাব। শওকত ওই গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে।

শওকত হোসেন (১৯) স্কুলের গণ্ডি পার করা হয়নি। তবে তথ্যপ্রযুক্তিতে তার আসক্তি মারাত্মক। ইন্টারনেটেই তার সময় কাটে রাতদিন। প্রযুক্তি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কিশোর বয়সেই সে হয়ে উঠেছে অন্তর্জালের ‘অন্ধকার জগতের’ দাপুটে বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকডই তার পেশা।
Read More News

গেল এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করে দেয়ার নাম করে সে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট হ্যাকড করে ২৫ হাজার টাকার চুক্তিতে সে যে কোনো শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন করিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পাইয়ে দিত। সারা দেশে এ কাজ করার জন্য সে ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছে নেটওয়ার্ক। ওই চক্রের বেশিরভাগ সদস্যই কিশোর ও তরুণ।

ওই চক্রের চার সদস্যকে আটক করে র‌্যাব। এরপরই বের হয়ে আসে ফলাফল পরিবর্তনের জালিয়াতির এ বিস্ময়কর তথ্য।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ। র‌্যাবের অভিযানে শওকত ছাড়াও আটক হয়েছেন শওকতের বড় ভাই সৌরভ হোসেন (২১), শ্রীমঙ্গলের শ্যামলীর আবদুল কাদির (১৭) ও মুসলিমপাড়ার হৃদয় মিয়া (১৭)।

রাজধানীতে গ্রেফতার আরও দুই কিশোর : এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। এ সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গতকাল রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো— আল আমিন (২০) ও বায়োজিদ (১৯)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে তাদের সংশ্লিষ্টতা মেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *