গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল, দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতুর ওপর ট্রেন চলাচল এবং ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেনের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সুবিধার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকার গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ভারতের দিল্লিতে নিজ কার্যালয় থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একে একে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন দুদেশের মধ্যে ট্রেনের তিনটি নতুন সেবার। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলকাতা থেকে যুক্ত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Read More News
প্রথমে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেনের যাত্রীদের জন্য ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সুবিধা, এর পর দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতুর ওপর ট্রেন চলাচল এবং শেষে খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনের পর দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালের আগে দুই দেশের মধ্যে যেসব রেল যোগাযোগ ছিল, তার সবই চালু করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার।
দক্ষিণ এশিয়া একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত এবং অন্যান্য নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের দুদেশের কল্যাণের জন্য আগামীতে এ ধরনের আরো অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য সব সময় আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকব।
আর দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতবর্ষের রিলেশন খুবই ভালো এবং আমি এখনো মনে করি, আমাদের রিলেশন আরো ভালো হোক, সুন্দর হোক, সার্থক হোক।
ভিডিও কনফারেন্সেই মোদি ও মমতাকে আবারও বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। আর প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গ সফরের নিমন্ত্রণ জানান মমতা।