শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পদ্মার ভাঙনে পনটুন ছিঁড়ে তিনটি লঞ্চ ডুবে ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন যাত্রী ও লঞ্চের ১২ জন কর্মী রয়েছেন।
আজ সোমবার ভোরের এ ঘটনায় ওয়াবদা-ঢাকা পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মৌচাক লঞ্চে নড়িয়ার লুনশিং গ্রামের মোহাম্মদ আলী, তাঁর স্ত্রী পারভীন বেগম (২৮), শাশুড়ি ফকরন বেগম (৫০) ও এক নবজাতক নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। লঞ্চটি ঘাটে পৌঁছার পর যাত্রীরা নেমে যায়। তবে ভোর হওয়ার আশায় পরিবার নিয়ে লঞ্চেই অপেক্ষা করছিলেন মোহাম্মদ আলী। এ সময় হঠাৎ পদ্মা পাড়ের একটি বিরাট অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে। এতে পানির তোরে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় ঘাটে নোঙর করা মহানগর ও নড়িয়া-২ নামের লঞ্চ দুটিও ডুবে যায়। পরে মোহাম্মদ আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অন্যরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
Read More News
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একই সঙ্গে উদ্ধার কাজে যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ‘প্রত্যয়’ নামের একটি জাহাজ রওনা দিয়েছে।