কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার ৮ হাজার ১৪০টি খামারে দেশিও পদ্বতিতে ৫৩ হাজার ২৯৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৩২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ভালো দামের আশায় স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গুরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।
কয়েকদিনের মধ্যেই ওইসব খামারের গরুগুলোকে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে দেশের বিখ্যাত পশুর হাট গাবতলীসহ বিভিন্ন বাজারে। তবে এবার সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে এখনো পর্যন্ত ভারতীয় গরু প্রবেশ না করায় গরুর দামও একটু ভাল। কিন্তু গো-খাদ্যের দাম এবার বেশি হওয়ায় খুব বেশি লাভ হবে না বেলে দাবি করেছেন খামারিরা। তবে কোরবানির আগ মুহূর্তে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আমদানির আশংকায় খামারিরা লোকসানে পড়ার দুশ্চিন্তা করছেন।
সাতক্ষীরা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ জানান, জেলার ওইসব খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে মোটাতাজা করেছে খামারিরা। আর সেটি তদারিকি করেছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। তাদের হিসাব মতে এসব পশুর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩শ’ ৩২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, এসব পশু সাতক্ষীরার মানুষের কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব।
Read More News
তবে সাতক্ষীরার খামারিদের দাবি প্রাণী সম্পাদ অফিসের তদারকি বাড়ানো গেলে ও সহজ শর্তে ঋণ পেলে প্রাকৃতিক উপায়ে সহজেই গরু মোটাতাজাকরণ ব্যবসা প্রসার ঘটানো সম্ভব।