দু’দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। পানি পার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
ফলে বুধবার সকাল থেকে কর্মমুখী মানুষদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। ঢাকার মতিঝিল, শান্তিনগর, আরামবাগ, মিরপুর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, তেস্তুরী বাজারসহ বিভিন্ন জায়গার প্রধান সড়কে পানি জমে গেছে। ফলে পুরো নগরে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট ও পরিবহন সংকট।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, শহরের বেশিরভাগ রাস্তাঘাটে হাটু পানি জমে থাকায় গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে অনেকে জুতো-স্যান্ডেল হাতে নিয়ে, শার্ট-প্যান্ট গুটিয়ে যেতে হচ্ছে। পানি পার হতে অনেকেই রিকশার সাহস্য নিচ্ছেন। শুধু পানি পার করতে রিকশা ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০-৫০ টাকা।
Read More News
এছাড়া নগরীর অলিগতিতে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিসহ বিভিন্ন ছোট ছোট পরিবহনের চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দুপুর ১টার দিকে শাহবাগ এলাকায় দেখা যায়, মৎস্য ভবন থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে শাহবাগ শিশুপার্ক পর্যন্ত শ’ শ’ গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে। কখনও তা একটু এগিয়েই আবার থেমে যাচ্ছে। ত্যক্ত-বিরক্ত যাত্রী ও গাড়ির স্টাফদের অনেকে জানান, একেকটি সিগন্যাল পার হতে আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগছে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতার জন্য ঢাকা ওয়াসাকেই দায়ী করছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, রাজধানী ঢাকায় শতাধিক খাল ছিল। কিন্তু এগুলো বেদখল হতে হতে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৪৩টিতে। এরমধ্যেও ১৭টি খাল মোটামুটি সচল রয়েছে। বাকি খালগুলো বেদখল। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর অবস্থাও একই রকম।