গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে কালিহাতী উপজেলায় অবস্থিত যমুনা রিসোর্টে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনকে চড়-থাপ্পড় মারেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নাটোর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যমুনা রিসোর্টে রাতের খাবারের জন্য বিরতি নেন। তাঁর আগমনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় মন্ত্রী নেতাকর্মীদের স্লোগান থামাতে বলেন। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে মন্ত্রী পদ্মা কটেজে গিয়ে বসেন। রাতের খাবারের আয়োজন কে করেছেন জানতে চান তিনি। এ সময় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন জানান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ হাসান ইমাম খান সোহেল খাবারের আয়োজন করেছেন।
Read More News
সাংসদ হাসান ইমাম খান সোহেল উপস্থিত না পেয়ে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। রাতের খাবার না খেয়েই চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। এ সময় সাংসদ মো. ছানোয়ার হোসেন সেতুমন্ত্রীকে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং সাংসদ হাসান ইমাম খান রাস্তায় আছেন ও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি চলে আসবেন বলে জানান। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ওবায়দুল কাদের হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সাংসদ ছানোয়ার হোসেনকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং সেখানে উপস্থিত জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও গালমন্দ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, নাহার আহমেদ, কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক খান আহম্মেদ শুভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংসদ মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি শাসন করতে পারেন এবং তিনি আমাদের আদরও করবেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি যাওয়ার আগে মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে আদর করেছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সাংসদ হাসান ইমাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের শাসন করেন, আবার আদরও করেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।