সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের শহর ইদলিবের। গত বৃহস্পতিবার ব্যারেল বোমায় বা দিকের পা উড়ে যাওয়া শিশু বাসেতকে আল-হাবেত শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করান হতভাগ্য বাবা আবদেল রহমান। হাসপাতালে ভর্তির আগে বোমায় পা হারানো শিশু বাসেতের যন্ত্রণার করুণ দৃশ্যধারণ করেন এএফপির সংবাদদাতা। আর ওই করুণ দৃশ্যই আলোড়ন তুলেছে বিশ্বব্যাপী।
হাসপাতালে ব্যাথায় কাঁদতে কাঁদতে শিশু বাসেত জানায়, আকাশে যখন বিমানের শব্দ শোনা যাচ্ছিল, তখন বাবা চিৎকার করে মাটির নিচে ঘরে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সে যাওয়ার আগেই বোমা পড়ে যায়। এরপর বাবা তাকে কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিশু বাসেতের মা-ও । এ ছাড়া পাশের একটি বাড়ির তিনজন এই বোমায় নিহত হয়েছেন।
Read More News
ছেলেকে বাঁচাতে গতকাল শুক্রবার একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সীমান্তবর্তী দেশ তুরস্কে রওনা দিয়েছেন আবদেল রহমান। হতবাক শিশুটি অমানুষিক ব্যথায় কাতরে হাত বাড়িয়ে চিৎকার করছে- ‘বাবা আমাকে তোলো’।
বাবার হাত ধরে একটু আগেই নাচতে নাচতে বাজার থেকে ফিরেছিল ৯ বছরের শিশু আবদেল বাসেত। সন্ধ্যার পর খাবার খেতে বসেছিল শিশুটি। মা রান্নাঘরে ব্যস্ত। বাবা বাইরে। হঠাৎ আকাশে বিমানের শব্দ। পরিবারকে সতর্ক করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে দৌঁড়াতে শুরু করলেন বাবা আবদেল রহমান। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেন না। আকাশ থেকে ঝরে পড়া বোমার ভয়ংকর শব্দে যখন সম্বিত ফিরল, ততক্ষণে উড়ে গেছে শিশু বাসেতের পা।