মিতু হত্যার ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া এসপি বাবুল আক্তারকেই সন্দেহ করছেন তাঁর শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।
বাবুলের হঠাৎ পরিবর্তন, স্ত্রী হত্যার তদন্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অসহযোগিতা এই সন্দেহের কারণ বলে মনে করছেন মিতুর বাবা। এ ছাড়া বাবুলের সঙ্গে মাগুরায় এক নারীর সম্পর্কের বিষয়টি মিতু হত্যার কারণ হতে পারে বলে মোশাররফ অভিযোগ করেন। মিতুর পরিবারের অভিযোগ, বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
Read More News
ঘটনার পর তদন্তে নামে পুলিশের একাধিক সংস্থা। প্রথমে সন্দেহ করা হয়ছিল জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক করে পুলিশ। তদন্তের এই পর্যায়ে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকেও প্রায় ১৫ ঘণ্টা আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর কিছু দিন পর পুলিশের চাকরি হারান বাবুল।
ঘটনার প্রায় আট মাস পর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বলছেন, বাবুলের গতিবিধি সন্দেহজনক।
মোশাররফ হোসেন জানান, নিজের স্ত্রী হত্যার তদন্তের বিষয়ে বাবুল প্রথম থেকেই অসহযোগিতা করে আসছেন। সেই সঙ্গে কিছু দিন আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নিয়ে দুই বাচ্চাসহ বাবুলের মগবাজার এলাকায় চলে যাওয়া, সে বাসার কাছেই তাঁর কথিত বান্ধবীর ফ্ল্যাট এবং সেই ফ্লাটে বাবুলের যাওয়া-আসার অভিযোগ, এই সন্দেহের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন মোশাররফ।
বাবুলের কথিত বান্ধবী বনানী বর্নি সম্প্রতি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বাবুল আক্তার নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে তিনি চেনেন না।