কলেজ শিক্ষিকা নাঈমা আক্তার যোগ দিয়েছেন আইএসে

নাঈমা আক্তার যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। আধুনিক রুচিসম্পন্ন একজন মানুষ। চোখে গাঢ় কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক সাজসজ্জায় বিষয় তার কমন। পোশাক আশাকেও অত্যন্ত স্মার্ট।

আধুনিক এই মানুষটি হঠাৎ গেলেন পাল্টে। নিজেকে আবৃত করলেন বোরকায়। কথাবার্তায় এলো পরিবর্তন। যাকে কাছে পান, তার সঙ্গেই ধর্মীয় আলোচনা। ধীরে ধীরে আলোচনায় স্থান পায় জিহাদ।

অবশেষে একা নয়, সঙ্গে শিশুচিকিৎসক স্বামীসহ দুই মেয়ে এবং মেয়ের জামাতাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন নাঈমা। ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া। সেখান থেকে তুরস্ক। পুরো পরিবার এখন সেখানেই। যোগ দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ধর্মীয় উগ্রপন্থি সংগঠন আইএসে।
Read More News

নাঈমার স্বামী ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দকার রোকনউদ্দিন। মেয়ে রেজওয়ানা রোকন ও তার স্বামী সাদ কায়েস ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আরেক মেয়ে রামিতা রোকন লেখাপড়া করতেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলে।

নাঈমা আক্তার হঠাৎ করেই জিহাদের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। আর তার এই জিহাদি মনোভাবাপন্ন হওয়ার পেছনে মেয়েজামাই সাদ কায়েসের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন পুলিশ ও স্বজনরা। জঙ্গি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে তার দেশত্যাগের খবরে হতবাক হয়েছেন সহকর্মীরা।

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক দিন আগে একজন পথচারী আমাকে জানান, এখানকার নাঈমা ম্যাডাম আইএসে যোগ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী আর পরিচিতজনরা বলছেন, রোকনউদ্দিন বেশ সদালাপী আর ভদ্র আচরণ করতেন সবার সঙ্গে। তবে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ধর্মের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায় গোটা পরিবারে।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম নিখোঁজ চিকিৎসকের ভাই আফাজ উদ্দিনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গত বছর জুনে ডা. রোকনউদ্দিন, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও জামাতা তুরস্ক চলে যান। এর পর থেকে তারা দেশে ফেরেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *