মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা মুহাম্মেদ ফেতুল্লাহ গুলেনকে তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের মদদদাতা হিসেবে সন্দেহ করছে তুর্কি সরকার। ১৯৪৭ সালের তুরস্কের করুকুচ গ্রামে জন্ম গুলেনের। তিনি একজন লেখক ও রাজনীতিবিদ। বর্তমানে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার সোলসবার্গে স্বেচ্ছা নির্বাসনে জীবনযাপন করছেন।
তিনি ইসলামের সুফি ইজম ও হানাফি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত। সুন্নী মুসলিম স্কলার সৈয়দ নূরসি’র দীক্ষাও গ্রহন করেন। তিনি বহুদলীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন নেতা।
Read More News
এখন গুলেন তুরস্কের সন্ত্রাসীর তালিকার শীর্ষে। মোষ্ট ওয়ান্টেডদের একজন। ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর তুরস্কের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। তুরস্ক তাকে আমেরিকা থেকে বহিস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তুরস্কের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলেনের নেতৃত্বাধীন গুলেনিষ্ট টেরোরিষ্ট অর্গানাইজেশন (ফেটো) সংগঠনটিকে সন্তাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
সন্তাসী কর্মকান্ডে গুলেনের সমর্থন নেই। তিনি নিন্দা জানান এসকল কর্মকান্ডের। আমেরিকায় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।
ওয়াশিংটন পোষ্টে তিনি এক নিবন্ধে লেখেন, একজন মুসলমান কখনই সন্ত্রাসী হতে পারে না অথবা একজন সন্ত্রাসী কখনই মুসলমান হতে পারে না।
গতকালের তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুথানের ঘটনায় গুলেন নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি কোনভাবেই এই অভ্যুত্থানের পেছনে নেই। আমি এই অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাই। আমাকে জড়িত করাটা অপমানজনক। তিনি সরকারকে সুষ্ঠ নির্বাচন দেয়ার পরামর্শ দেন। সরকারকে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করারও আহবান জানান তিনি।