রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত ওই শপিং মলের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসানের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মাহমুদুল বগুড়া সদরের মোজ্জাম্মেল হক মণ্ডলের ছেলে।
Read More News
মাহমুদুল হাসানের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। একই ঘটনায় তার মেয়ে মেহনাজ হাসান মায়শার ৪৪ শতাংশ ও আট মাস বয়সী ছেলে মুনতাকিনের ২৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তারা এখনো ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ওই টাওয়ারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। আগুনে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসানের (৩৫), মিজানুর রহমান (৫০), কামরুন্নাহার লতা (১৯), সালমা আক্তার (৩৩), রেজাউল করিম রানা (৩০) ও জসিম (২৪)। তাঁদের মধ্যে মিজানুর ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লতা এই কমপ্লেক্সের বিক্রয়কর্মী। তিনি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের প্রয়াত দিল মোহাম্মাদের মেয়ে। সালমা শেরপুরের আনিসুর রহমানের স্ত্রী। রানা ফরিদপুরের নগরকান্দার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। জসিমের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ছয়জনেরই মরদেহ আজ শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।