প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যা যা করণীয় তা বাংলাদেশ করবে। এ ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ বুধবার প্রধানমন্ত্রী সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ও কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় ভূমিকা সব সময়ই ছিল। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কখনোই প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি রোধে যা যা করার করবো। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়েও আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, এই শান্তির ধর্মের সম্মান যাতে উচ্চ শিখরে নিতে পারি সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, সবসময়ই আমাদের সন্ত্রাস বিরোধী ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে এ জন্য ইতোমধ্যে সরকার জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান সবসময়ই আমি করে থাকি। ওআইসিতে যতবার গিয়েছি ততবারই এই প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়েছে। ওআইসি মহাসচিবের সাথে যখনই সাক্ষাৎ হয়েছে, তখনই এই কথাটি বলা হয়েছে।
Read More News
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করতে সৌদি আরব একটি ইসলামী জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ এই জোটে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৪০টি দেশ এই জোটে যুক্ত হওয়ার ফলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।