বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি ঈদের আগে প্রকাশ করা হচ্ছে না। ঈদের ছুটির পর এটি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আরো বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বেশ ব্যয়বহুল হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন। ওই দিন অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, ‘বাজেট ঘোষণার ১৫ থেকে ২০ দিন পর এটি প্রকাশ করা হবে।’
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা তিনি বলেন, ‘রিপোর্টটি প্রকাশ করতে দেরি হবে। আমার সময়ের খুব অভাব। বাজেট অধিবেশন চলছে। এখনো রিপোর্টটি ভালো করে পড়া হয়নি।’
Read More News
‘তাহলে কি ঈদের পরে ’ –এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘ঈদের পরে তো বটেই। বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাবে ৩০ জুন। এরপর তো ঈদের ছুটি। তারপরে হবে, ডেফিনিটলি।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে জালিয়াত চক্র।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে অন্তবর্তীকালীন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ৭৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কমিটি গত ২০ এপ্রিল অন্তবর্তীকালীন এবং ৩০ মে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করে। এর পর পরই অর্থমন্ত্রী ১৫ দিনের মধ্যে মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে বাজেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি রাশিয়া সফরে যান।
রাশিয়া সফর
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অনেক ব্যয় বহুল হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রাশিয়া সফর শেষে দেশে ফেরার পর মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে সেটা অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় ‘ভেরি কস্টলি ফর পাওয়ার জেনারেশন। তবে ব্যয় এখনো এসেসমেন্ট করা হয়নি। আমি এটা এসেসমেন্ট করার চেষ্টা করছি। একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা সবকিছু দেখছে।’
তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশের বিষয়টি যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেটা ‘ফ্যান্টাস্টিক। একটা ডিম্বের মতো আকৃতি। যা কিছু হবে পরিবেশ দূষণ, সব কিছু এর মধ্যেই থাকবে। বাইরে আসবে না।’
রাশিয়া সফরকে ‘ইন্টারেস্টিং’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সফরকালে তাদের নতুন একটি পারমানবিক বিদ্যুৎ পরিদর্শন করেছি, বাংলাদেশে যেটা নির্মিত হচ্ছে সেটা একই ধরনের।