যশোর সদর ও ঝিকরগাছা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘গণপিটুনি’তে চারজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ দুটি ঘটনা ঘটে। নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির লাশ রাত ৩টা ১০ মিনিটে যশোরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আর গণপিটুনিতে নিহত তিনজনের লাশ সকাল ৮টা পর্যন্ত ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরে পড়ে ছিল। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন বলেন, একদল ডাকাত সড়কের দুইধারে গাছে দড়ি বেঁধে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশও চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পাল্টা জবাব দেয়। এ সময় গুলিতে আহত হয়ে এক ডাকাত মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় সহযোগীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে আনে। তার নাম জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গাছিদা, একটি রামদা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহার্য কিছু দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এইমাত্র এক যুবককে (২৮) হাসপাতালে এনেছে পুলিশ। তার ডান কানের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথার অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ঝিকরগাছা থানার ওসি মোল্লা খবির আহমেদ বলেন, রাত পৌনে ২টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতি করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে কয়েকজন খাল পার হয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু তিনজন খাল পার হতে না পারায় এলাকাবাসী তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। ওসি আরো জানান, নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গত সোমবার ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকায় পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়। সেখানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঝিকরগাছা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদুল গুরুতর আহত হন। তিনি এখনো যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল থেকেই কৃষ্ণনগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালায়। এর মধ্যেই গণপিটুনির ঘটনা ঘটলো।
Read More News