বন্ধু তুমি শত্রু তুমি—দুজনের সম্পর্কের রসায়নটা যেন এমনই অদ্ভুত। বেশির ভাগ সময় একে অপরের ছায়া মাড়ান না পেলে ও ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আবার কখনো-সখনো একেবারে গলাগলি ভাব। পরশু প্যারিসে এক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে যেমন সর্বকালের সেরা দুই ফুটবলারকে দেখা গেল বন্ধুত্বের বাতাবরণে। সংবাদ শিরোনাম হওয়ার জন্য আর কী চাই!
ম্যারাডোনা অবশ্য আরো বড় শিরোনামের উপলক্ষ দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। উত্তরসূরি আর্জেন্টাইন লিওনেল মেসির নেতৃত্বগুণ আর ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে। ‘মেসি খুব ভালো মানুষ কিন্তু ওর কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। নেতা হওয়ার মতো গুণাবলির অভাব রয়েছে ওর’—সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন ম্যারাডোনা। সেটিও কখন? কোপা আমেরিকায় পানামার বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের মাঠে নামার আগে। ‘আলবিসেলেস্তে’দের ২৩ বছরের আন্তর্জাতিক শিরোপাখরা কাটিয়ে এবারে কোপা উঠবে মেসির হাতে—এমন সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে ম্যারাডোনার অমন চাঁচাছোলা কথা আর্জেন্টাইন ক্যাম্পের মনোবল খানিকটা নাড়িয়ে দেওয়ারই কথা।
Read More News
এমনিতে খানিকটা অন্তর্মুখী স্বভাবের মেসি। মাঠে সতীর্থদের উজ্জীবিত করায় খোলা চোখে ততটা সক্রিয় দেখা যায় না তাঁকে। সে কারণেই হয়তো উত্তরসূরির ব্যক্তিত্ব-নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ম্যারাডোনা। আর ’৮৬-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অমনটা বলার পর তাতে যেন সায় দেন ব্রাজিলের জার্সিতে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলে, ‘ম্যারাডোনার কথা আমি বুঝতে পেরেছি। মেসি আমাদের সেই দিনগুলোর মতো না। ১৯৭০ সালে রিভেলিনো, গারসন, তোস্তাওয়ের মতো দারুণ সব ফুটবলার ছিল ব্রাজিলের। এখনকার আর্জেন্টিনা তো শুধু মেসির ওপর নির্ভরশীল। ম্যারাডোনা তাই বলছে, মেসি ভালো খেলোয়াড়, তবে ওর কোনো ব্যক্তিত্ব নেই।’
তবে ম্যারাডোনার সমালোচনা সত্ত্বেও অধিনায়ক মেসির ওপর থেকে এতটুকুন আস্থা কমেনি আর্জেন্টিনা কোচ জেরার্দো মার্তিনোর। বরং আগের অধিনায়ক হাভিয়ের মাসচেরানোর সঙ্গে নেতৃত্বগুণে পার্থক্য উল্লেখ করে মেসির প্রভাবটা দেখিয়ে দেন তিনি, ‘নেতা হিসেবে মাসচেরানোর প্রভাব বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্কোয়াডের ভেতর। মেসির নেতৃত্ব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাঠে। আর ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সহজাত নেতা তো সব সময়ই দেখা যায় মাঠে।’ ডেইলি মেইল, গোল ডটকম