পানামা পেপারস বিস্ফোরণে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার ব্যক্তিগত আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার পর কনজার্ভেটিভ পার্টির সিনিয়র রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন প্রচ- চাপে। এর মধ্যে রয়েছে জর্জ অসবর্ন, বরিস জনসন, সাজিদ জাভিদ প্রমুখ। তাদের আয় ও আয়কর রিটার্ন প্রকাশের দাবি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে আজ বৃটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব লর্ডসে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়বেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন রাজনৈতিক নেতাদের আর্থিক স্বচ্ছতা বিষয়ে বিতর্ক আহ্বান করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিরা তাদের প্রভাব খাটিয়ে কি করেছেন তা জানার অধিকার অবশ্যই ভোটারের আছে। জনগণের এটা জানতে হবে আস্থা সৃষ্টির জন্য। তাদেরকে জানতে হবে যে, তাদের নেতারা কি আয় করছেন, কোথা থেকে সেই অর্থ আসছে। জেরেমি করবিনের অবস্থান ও ডেভিড ক্যামেরন স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের যে আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছেন তাতে তারই মন্ত্রীসভার সিনিয়র নেতারা পড়েছেন তীব্র চাপে। বিশেষ করে জর্জ অসবর্ন চ্যান্সেলর হিসেবে ট্যাক্স সিস্টেমের দায়িত্বে। তিনি ও তার দলের শীর্ষ আরও কয়েকজন ডেভিড ক্যামেরনের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু তারা এখন সমালোচক, বিরোধীদের কি জবাব দেন তা দেখার বিষয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র বলেছেন, চ্যান্সেলরের কোন অফসোর কোম্পানি নেই এবং তার কোন শেয়ারও নেই। এ বিষয় আমরা নিশ্চিত। তার আয় ও তা থেকে মুনাফায় কোন টকঝাল নেই। প্রকাশ্যে তা ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তার বেতন, লন্ডনে বাড়িভাড়ার অর্থ, পিতার প্রতিষ্ঠান অসর্ন অ্যান্ড লিটলে রয়েছে তার কিছু শেয়ার। তিনি সব সময়ই স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করেন। লন্ডনের আগামী মেয়র প্রার্থী হিসেবে দেখা হয় কনজার্ভেটিভ দলের মাল্টি মিলিয়নিয়ার জ্যাক গোল্ডস্মিথকে। তিনি এমপি হওয়ার পর থেকেই আয়কর রিটার্ন হমা দিয়ে আসছেন।
Read More News