মহাবিশ্বে পৃথিবীর বাইরে কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে৷ মানুষের এ চিরন্তন কৌতূহল নিরসনের চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা৷ আর তাঁদের কাজে সহায়তা করতে মহাবিশ্বে চক্কর কেটে চলেছিল কৃত্রিম মহাকাশযান Kepler 452b৷ কিন্তু ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে খুঁজতে এখন বিপর্যয়ের মুখে মহাকাশযানটি৷ জ্বালানি সংকটে এমার্জেন্সি মোডে চলে গেছে সেটি৷ ২০০৯ সালে নাসা এই মহাকাশযানটিকে বিশেষ এক কাজ দিয়ে মহাকাশে পাঠায়৷ ছায়াপথগুলির মধ্যে কোথাও কোনো গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে কি না, সেই দুরূহ সন্ধানের কাজটিই করে এটি৷ গত জুলাই মাসে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে খোঁজ দিয়েছিল কেপলার৷ নাসার বিজ্ঞানীরা সে খবর সানন্দে ঘোষণা করেছিলেন৷ প্রাণের সন্ধান এখনও জারি রেখেছিল মহাকাশযানটি৷ তবে আর কতদিন রাখতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান বিজ্ঞানীরা৷ পৃথিবী থেকে বহুদূরে সেটি এখন এমার্জেন্সি মোডে চলে গেছে৷ জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছালে এই অবস্থা হয় মহাকাশযানের৷ আলোর গতিবেগেও যদি সিগন্যাল যাওযা আসা করে, তাহলেও কেপলারের কাছে বার্তা পাঠাতে ও প্রতিবার্তা পেতে সময় লাগছে প্রায় ১৩ মিনিট৷ সে সিগন্যালও এই মুহূর্তে ঠিকঠাক কাজ করছে না৷ এতটা দূরত্বে অবস্থিত মহাকাশযানটির এ পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যাবে তাই নিয়েই এখন ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা৷ ২০১২ সালে একবার বিপদে পড়েছিল কেপলার৷ ভারসাম্য রক্ষার্থে যে চারটি চাকা আছে, তার একটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ তবে সে যাত্রা কেপলারকে বাঁচাতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ কেপলারের এবারের বিপর্যয়ও সামলে নেওয়া যাবে এমনটাই আশা রাখছেন তাঁরা৷
Read More News