রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন পরবর্তী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই আমাদের সম্পর্ক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন কারাগারে। বাঙালি জাতির কল্যাণে ও মানুষের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে, অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি বারবার কারাগারে গেছেন।
জাতির জনক ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাধীনতা আনতে গিয়েই তাকে বারবার কারাগারে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলেও জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
Read More News
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমারা রাজনীতি করি। এদেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমারা চাই স্বাধীন এই দেশটাকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে।
এক সময় কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের মানবেতরভাবে জীবন-যাপন করতে হতো। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি আর নেই। সমাজের সংস্কার নিয়ে আসা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই সংস্কারের জন্য মানুষের মানসিকতায় প্রয়োজন আনা দরকার যোগ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সমাজে নতুন-নতুন অপরাধ প্রবণাতা বাড়ছে। এসব অপরাধ থেকে অপরাধীদের সরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। অপরাধীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা আমাদের সবার দায়িত্ব। কারাগারে বন্দিদের যেন সংশোধন করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি। অপরাধীদের শুধু শাস্তি নয়, পাশাপাশি তাদের সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কারা অধিদফতর সূত্র জানায় প্রায় সোয়া ২শ’ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোড থেকে শিগগিরই কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি। একই সঙ্গে বদলে গেছে কারা স্থাপনার লাল রং। এটি এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম মডেল কারাগার।