জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বর্তমানে অনেকের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোনা গেলেও তাদের মনে স্বৈরতন্ত্রের অপছায়া বিরাজ করছে। আমরা অনেকেই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে বোকা মনে করি। তবে মনে রাখতে হবে রাজধানী ঢাকার মুষ্টিমেয় লোক দিয়ে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করার পরিবেশ এখন আর নেই। যারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবে তাদেরকে ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।
শনিবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
Read More News
বর্তমানে দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন, যদি এখনই গণতন্ত্রের মুখোশ খুলে ফেলা না হয় তবে ভবিষ্যতে ইতিহাস এর প্রতিশোধ খুবই নিষ্ঠুরভাবে নেবে। আজকে গণতন্ত্রের পথ হয়তোবা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। কিন্তু যখন এটা সীমা অতিক্রম করে ফেলবে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে ও সুশীল সমাজের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠবে, তখন সেই প্রতিশোধ অনিবার্য হয়ে পড়বে।
মঞ্জু বলেন, যারা মনে করেন ভয়-ভীতি দেখানো হবে, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বসবাস করে। মনে রাখতে হবে, আজকে যারা এখানে এসেছে তারা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্শাল ল’র বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেই এখানে এসেছে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনা যায় না। কিন্তু বহু কষ্টে অর্জিত নির্বাচনকে যারা রক্তাক্ত করতে চায়, বাধাগ্রস্ত করে অন্য কোনও স্বপ্ন দেখতে চায় তাদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। কাউকেই ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।
কাউন্সিলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘কাশিমবাজার কুঠিরে বসে সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ঘষেটি বেগম। বাংলাদেশে যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, তাদের নেতা আরেক ঘষেটি বেগম খালেদা জিয়া।’
কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসকে শিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, জাসদ (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার ও দলটির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।