দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১৪৯ ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষোভ-দুঃখে দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি থেকে চিরবিদায় ও ভবিষ্যতে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদ্য সাময়িক বহিষ্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. রহিজ উদ্দিন আকন্দ। বিগত ৫ বছর অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চান রহিজ উদ্দিন আকন্দ।
Read More News
কিন্তু দলীয় মনোনয়ন তাকে না দিয়ে দেওয়া হয় ঠিকাদার নুরুল ইসলাম সরকারকে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। মাত্র ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নুরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন তিনি। নির্বাচনে নুরুল ইসলাম পান ৫০৩৯ ভোট আর রহিজ উদ্দিন আকন্দ পান ৪৮৯০ ভোট। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে তাকে পরাজিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। দুধ দিয়ে গোসলের বিষয়ে রহিজ উদ্দিন আকন্দ অনেকটা মনে কষ্ট নিয়ে বলেন, বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক কাজ করেছি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের জন্য অনেক শ্রম দিয়েছি। তারপরও দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। জনগণ আমাকে ভালোবাসে বিধায় তারা আমাকে ভোট দিয়েছে। যে দলের জন্য এত শ্রম দিয়েছি সেই দল থেকে আমি আজ কি পেলাম? তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর রাজনীতি করব না। এ কারণে আমি দুধ দিয়ে গোসল করে মনস্থির করেছি, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। আর যতটুকু পারি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, রাজনীতি থেকে সরে যাওয়াটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি পদ থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের ক্ষমতা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার।