কুড়িগ্রাম শহরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ‘আত্মহত্যায়’ প্ররোচিত করার ঘটনায় এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।আত্মহত্যার শিকার’ বীথি (১২) শহরের হরিকেশ মধ্যপাড়ার দিনমজুর বাবুল হোসেনের মেয়ে ও কুড়িগ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।সদর থানার ওসি জমির উদ্দিন জানান, রোববার রাতে বীথির গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার ও তার চাচাত ভাবি আঁখিকে (১৯) আটক করা হয়।
Read More News
ওসি মামলার বরাত দিয়ে জানান, প্রায় তিন মাস আগে প্রতিবেশী ও চাচাত ভাই ইউসুফ (২২) তার ভাবি ফুলতির সহযোগিতায় বীথিকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় প্রথমে ইউসুফের পরিবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে ঘটনা অস্বীকার করে এবং ইউসুফের দাদি নূরজাহান বেগম বীথিকে ‘নষ্টা’ বলে গালাগাল করে। এছাড়া নূরজাহান তাকে ‘গলায় ফাঁস দিয়ে মরতে পারিস না?’ বলে তিরস্কার করে।
ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ইউসুফের ছোট ভাবি আঁখিকে আটক করে পুলিশে দেয়। তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায় বলে ওসি জানান।এ ঘটনায় নিহত বীথির বাবা বাবুল হোসেন থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
অপরদিকে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অজয় কুমার রায় জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তত্ত্বাবধায়ক।